বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে লাভজনক সরকারি সাত কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর এবার নতুন করে রাষ্ট্রীয় তিন ব্যাংককে বাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সম্প্রতি ধারাবাহিক পতনের মুখে পড়ে পুঁজিবাজার। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং দীর্ঘমেয়াদে আস্থা ফেরাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার তিন ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিন বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো- সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন, অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের শেয়ার কীভাবে আনা যায় এবং কত অংশ ছাড়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে অংশীজনসহ বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংকের শেয়ার আরও ছাড়া যায় কি-না, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক বিবরণীসহ সাম্প্রতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে গত ২ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে লাভজনক পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আরও বেশি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওইদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। এখানে যারা আছে তারা বিক্ষিপ্তভাবে আছে। লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই সাত প্রতিষ্ঠানকে শিগগিরই বাজারে আনা হবে। তাদের দুই মাস সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ে তারা তাদের সম্পদের পরিমাণ যাচাই করে জানাবেন। এরপরই শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন হবে।
এর আগে ২০১৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারি ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর বাস্তবায়ন হয়নি।